আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।।দেশে পর্যাপ্ত আলু আছে তাই খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।এজন্য মনিটরিং করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
একই সাথে হিমাগারে ২৩ এবং পাইকারী পর্যায়ে ২৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রির নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।জেলা বিপণন কর্মকর্তাদের কাছে ৭ই অক্টোরব পাঠানো এক চিঠিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলেছে, গেল মৌসুমে দেশের আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন। যার বিপরীতে দেশে আলু চাহিদা প্রায় ৭৮ লাখ টন।
সরকারি হিসেবে দেশে প্রায় ৩২ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে। মৌসুমে আলুর সর্বোচ্চ দর ছিল ১৪ টাকার। এর সঙ্গে হিমাগার ভাড়া, বাছাই, ওয়েট লস, সুদ ও অন্য খরচ ধরে হিমাগার গেটে আলুর দর হয় সর্বোচ্চ ২১ টাকা। সে বিচারে হিমাগারে ২ থেকে ৫ শতাংশ মুনাফা, পাইকারিতে আরো ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মুনাফা যুক্ত করে আলুর সর্বোচ্চ দর খুচরায় কোনভাবেই ৩০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় বলে হিসেব দেয়া হয়েছে।
একমাস আগেও যে আলুর দাম ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি, এখন তা বিক্রী হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায়। আলুর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেগুনের দামও। একমাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে বেগুনের দাম ঠেকেছে ৮০ টাকায়। এছাড়াও বাড়ছে সব ধরনের সবজর দামও।সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। কয়েক দফা বন্যা আর অতি বৃষ্টিও প্রভাব ফেলেছে সবজির দামে।
আমাদেরবাংলাদেশ/আরাফাত